• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৮, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ একমাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ একমাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

 

রাজধানীর ফার্মেসিগুলোতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে এই আদেশ পালন করতে হবে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গতকাল ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধ ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে ‘ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

গত ১০ জুন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।

ফার্মগেটের খামারবাড়িতে আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত বাজার তদারকির গত ছয় মাসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।’

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ভোক্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পাশাপাশি কয়েকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতারণা রোধে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশেই তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। তদারকি টিম কখনো ক্রেতা সেজে, আবার কখনো ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে ফার্মেসিগুলোর কার্যক্রম নজরদারির আওতায় রেখেছে।

এমএ/টিএফ