• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৮, ২০১৯, ০১:৫০ পিএম

আমে ফরমালিন বন্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানতে চায় হাইকোর্ট

আমে ফরমালিন বন্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানতে চায় হাইকোর্ট


আমে ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি জানাতে বিএসটিআইয়ের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয় আদালত। 

নির্দেশে কীভাবে ফলের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, এ বিষয়ে পুলিশ ও র‍্যাবকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।

গত ২০ মে গাছ থেকে সংগ্রহের পর ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের আড়তে বা বাজারে কেমিক্যাল মেশানো আম আসছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশে আদালত সারাদেশে ফলের বাজারে ফরমালিনসহ সব ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো ঠেকাতে র‌্যাবের ডিজি, আইজিপি ও বিএসটিআইকে ৭ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে তদারকি করতে বলেছিলেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।

আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আম ও ফলে কেমিক্যাল রোধে সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব ফলের আড়ত ও বাজারে থাকা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত র‌্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশনা দেন।

মনজিল মোরসেদ জানান, গত ৯ এপ্রিল আদালত দুটি আদেশ দিয়েছিলেন। এর একটি হচ্ছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে দেয়া নির্দেশ। আমবাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়োগ দিতে বলা হয় রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে। যেন আম পাকানোর জন্য কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। আরেকটা নির্দেশে চার জন বিবাদীকে ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে তদারকি টিম গঠন করতে বলা হয়। 

এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো প্রতিবেদন না দেয়ায় বিষয়টি গত ২০মে আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয়।

তিনি আরও জানান, আদালত গত ২০ মে থেকে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের বাজার ও আড়তে তদারকি টিম গঠন করে মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যেন কেউ আম বা ফল পাকাতে বা সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারেন। আদালতে আজ এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এমএ/আরআই