• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম

রাজীবের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

রাজীবের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ


দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

আদেশে দুই মাসের মধ্যে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে ২৫ লাখ টাকা করে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ মে ও ২৩ মে দুই দফায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরের দিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজীব। পরে রাজীবের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। কখনো টিউশনি করে, কখনো খণ্ডকালীন কাজ করে নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং দুই ভাইকে বানিয়েছেন হাফেজ।

এমএ/আরআই