• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৯:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৩, ২০১৯, ০৯:১৮ পিএম

২৮ বছর হত্যামামলা স্থগিত, হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ

২৮ বছর হত্যামামলা স্থগিত, হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ

হত্যার অভিযোগে করা একটি মামলা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে স্থগিত। এত দীর্ঘ সময় স্থগিত থাকার বিষয়টি সামনে এলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার (জুন) এ মন্তব্য করেন।

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার এই বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আদালত বলেছেন, এজন্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিচার বিভাগও দায় এড়াতে পারে না। বিলম্বিত বিচার মানে বিচারকে অস্বীকার করার নামান্তর বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

যার আবেদনে এই মামলার বিচার স্থগিত সেই মারুফ রেজার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলে, উনি (মারুফ) তো এই মামলায় আসামি বা সাক্ষী নন, কোন তালিকায় তার নাম নেই। তাহলে কিভাবে নিম্ন আদালতের অধিকতর তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলেন। আপিল বিভাগের রায়ও আছে যে, অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করা যাবে না। মামলার যে কোনো অবস্থায় বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দিতে পারেন।

মারুফ রেজার আইনজীবী ওবায়দুর রহমান বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে এই মামলা নিয়ে প্রতিবেদন দেখেছি। অনেক পুরাতন মামলা। যে নথিপত্র আমাদের কাছে রয়েছে তা থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। এরপর ২৮ বছর আগে অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের দেয়া আদেশ আদালতে পড়ে শোনান তিনি।

হাইকোর্ট বলেন, অধিকতর তদন্তের আদেশে আপনার মক্কেল কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এবং এ ধরনের রিভিশন মামলার করার আইনগত এখতিয়ার তার ছিল কি না সেটা আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। ওই আইনজীবী বলেন, কোর্ট যেভাবে চায় সেভাবেই আদালতকে আমরা সহযোগিতা করবো।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ বলেন, মারুফ রেজার অবস্থা এমন যে, ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই নাই। যার নাম এজাহারে বা অভিযোগপত্রে নেই তিনি কিভাবে অধিকতর তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করলেন? মারুফ রেজা খুনের ঘটনায় জড়িত বলেই বিচার স্থগিতের জন্য ওই আবেদন করেছেন। আদালত বলেন, দীর্ঘ শুনানির কোন সুযোগ নেই। বুধবার রুলের উপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্বেশ্বরীতে ছিনতাইকারীর গুলিতে মারা যান। এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রিকশাচালক দুজনকে শনাক্ত করলেও অজ্ঞাত কারণে মিন্টু ওরফে মন্টু নামে এক আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ। সাক্ষ্য চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালের ২৩ মে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় ঢাকার একটি আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মারুফ রেজা। ওই বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর মামলাটির উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।

একেএস