• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরার ক্ষমতা প্রশাসনের নেই’

‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরার ক্ষমতা প্রশাসনের নেই’
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড ৭ বছর পেরিয়ে গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার সময় ৬৫ বার পিছিয়ে গেছে। সম্ভবত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এমন সব ব্যক্তি জড়িত যাদের ধরবার ক্ষমতা এই প্রশাসনের নেই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ছিল বিভৎস একটি ঘটনা। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে মূল আসামিরা মৃত্যুদণ্ডের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

রোববার (৭ জুলাই) জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, দেশের কোথাও হত্যাকাণ্ড হলেই শুনতে পাই- প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী তো নির্বাহী বিভাগের প্রধান। বিচার করবার জন্য তো আছে আইন, আদালত, বিচার বিভাগ। আর বিচার চাইতেই বা হবে কেন? যদি পুলিশ, প্রশাসন, আদালত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে তো বিচার চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।

রুমিন ফারহানা বলেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুনীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ অপরাধী ধরবার কথা পুলিশের এবং এটা তাদের রুটিন কাজ। এজন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে থাকে। রিফাত সৌভাগ্যবান তার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে। গত একমাসে ২২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছেন। তাদের খুনীদের ধরতে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা প্রশাসনে দেখি না।

রুমিন বলেন, ইতিমধ্যেই খবর আসছে রিফাতকে বাঁচানোর জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অত্যন্ত তৎপর আছেন। জনগণের ম্যান্ডেন্ডবিহীনভাবে ক্ষমতায় থাকার ফল স্বরূপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। এদের যাবতীয় মুরদ দেখা যায় বিরোধী দলীয় কর্মীদের বিনা বিচারে হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন আর কারাগারে পাঠানোর মধ্যদিয়ে।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন