• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ১১:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কায়সারের আপিল মামলা কার্যতালিকায়

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কায়সারের আপিল মামলা কার্যতালিকায়
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার -ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে কার্যতালিকায় রয়েছে মামলাটি।
   
গত ১০ এপ্রিল এটিএম আজহারুল ইসলাম (আপিল শুনানির পর আজ বুধবার রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত) ও সৈয়দ কায়সারের মামলার আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। ওই দিন আদালত বলেছিলেন, ১৮ জুন মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির কার্যতালিকার ১ নম্বরে এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং ২ নম্বরে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার থাকবে।

আদালত আরও বলেন, আমরা দুটো একসঙ্গে দেখব, একটার পর একটা। সময় তো আট সপ্তাহের বেশিই দেয়া হলো, ১৮ জুন শুনানি। এ মামলাগুলো দেরি করা যাবে না, তাতে (কার্যতালিকার) নিচে চলে যায়।

১০ এপ্রিল আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী  খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

এর আগে, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় ঘোষণার পর ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আজহারুল ও কায়সারের আবেদন দুটি শুনানির জন্য আসে। তবে কার্যতালিকার অনেক পেছনে থাকায় আবেদন দুটির ওপর শুনানি সম্ভব হয়নি।

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের নামে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে অপরাধ সংঘটিত করেন হবিগঞ্জ মহকুমার রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে সর্বোচ্চ সাজাসহ ২২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে ১৫২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ২ নারীকে ধর্ষণ, ৫ জনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় এবং দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন এবং ষড়যন্ত্রের ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১৪টিই প্রমাণিত হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্য অপরাধের পাশাপাশি ধর্ষণের দায়ে ফাঁসির দণ্ড পান কায়সার। সাঁওতাল নারী হীরামনি ও অপর নারী মাজেদাকে ধর্ষণের অপরাধ দুটি প্রমাণিত হয়। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল ও বেকসুর খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন তার আইনজীবী।


এমএ/ একেএস

আরও পড়ুন