• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৯, ০১:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ নিয়ে রিভিউয়ের রায় যেকোনো দিন

‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ নিয়ে রিভিউয়ের রায় যেকোনো দিন


‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ বলে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের ওপর করা রিভিউ আবেদনের বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে মামলাটি। 
 
আপিল বিভাগের দেয়া ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা এক আসামির আবেদনের শুনানি আজ (১১ জুলাই) পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১১ এপ্রিল এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানিতে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ হবে কি না সে বিষয়ে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা- রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এফ হাসান আরিফ, আবদুর রেজাক খান ও মুনসুরুল হক চৌধুরী।

মুনসুরুল হক চৌধুরী আসামিপক্ষের আইনজীবী হওয়ায় তিনি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আপত্তি জানালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনকে সংযুক্ত করা হয়।

২০০১ সালে গাজীপুরে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার মামলার চূড়ান্ত রায়ে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’, সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ আসে। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম গাজীপুর মডেল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দ্রুত বিচার আদালত ২০০৩ সালে এ মামলার রায়ে তিন আসামি আনোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান ও কামরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। হাইকোর্টেও সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল থাকে।

এরপর আসামি আনোয়ার ও আতাউর সাজা কমানোর জন‌্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কামরুল পলাতক থাকায় আপিলের সুযোগ পাননি। দুই আসামির আপিল শুনানি করে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ, যা আমৃত্যু কারাবাস হিসেবে গণ্য হবে। ওই বছরের ২৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস। এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে বলে ওই সময় জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে আপিল বিভাগের দেয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আতাউর মৃধা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

এমএ/আরআই 

আরও পড়ুন