• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০১:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০১:০১ পিএম

খনি দুর্নীতি

খালেদার মামলায় অভিযোগ শুনানি পিছিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর

খালেদার মামলায় অভিযোগ শুনানি পিছিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর


বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত। কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান নতুন এই দিন ধার্য করে। আসামি পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করে আদালত। 
 
মামলাটির অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য ছিলো আজ বৃহস্পতিবার। তবে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণ উল্লেখ করে তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘কাস্টডিতে থাকা আসামি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আসামির অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি আইনসম্মত হয় না। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।

এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ১১ জন। সম্প্রতি আরেক আসামি আমিনুল হকও মারা গেছেন।

আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক মুঈনুল আহসান, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে কয়লা উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

এমএ/আরআই 
 

আরও পড়ুন