• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৬, ২০১৯, ০৩:৫৫ পিএম

ফখরুলদের সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ফখরুলদের সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে সিএমএম আদালতে (বিচারিক আদালত) আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সময়ের মধ্যে তাদের আটক বা হয়রানি না করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে করা তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের  সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে নেতাদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুবউদ্দিন খোকন। আদালত থেকে বের হবার পর এই তথ্য জানান তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইএস- এর মাধ্যমে খুনের হুমকি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় এই আগাম জামিন আবেদন করেন তারা। আবেদন করা অন্য নেতারা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন চান তারা। 

গতকাল ৫ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয় নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় নিম্ন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর করা মামলাটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।

আইএসকে দিয়ে আগামী ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

তারেক ও ফখরুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ২৩ জুলাই বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা রেজিস্ট্রিযোগে বাদীকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে আগামী ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

এমএ/টিএফ

আরও পড়ুন