• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৫:৪৯ পিএম

এফ আর টাওয়ারের তাসভীর গ্রেপ্তার

এফ আর টাওয়ারের তাসভীর গ্রেপ্তার
তাসভীর উল ইসলাম - ফাইল ছবি

বনানীর এফ আর টাওয়ার দুর্নীতি মামলার আসামি কাসেম ড্রাইসেল ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইনান্স থেকে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় গত ৩০ জুলাই রাজউকের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে এফ আর টাওয়ারের মালিক, রাজউকের প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফ আর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মূলত এই মামলায় তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অপর মামলায় এফ আর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হন।

এই দুর্ঘটনার পর ভবনের নকশা অনুমোদনে জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক ও এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের পর মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ফারুক হোসেন তার মালিকানাধীন ১০ কাঠা জায়গায় ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। প্রথমে ১৫ তলার অনুমোদন পেলেও পরবর্তীতে রাজউক সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করে। তারও পরে ২০০৫ সালে ১৮ তলার উপর ভবনের মালিক ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২৩ তলা নির্মাণ করে। ২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত পাঁচতলা নির্মাণের প্রমাণ পেয়েও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 

অভিযোগ রয়েছে, রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিশেষ সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক তাসভির উল ইসলামে তা ক্রয় করেন।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন