• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৯:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৯:১১ পিএম

ডেঙ্গু : দুই সিটি করপোরেশনের প্রতি হাইকোর্টের অসন্তোষ

ডেঙ্গু  : দুই সিটি করপোরেশনের প্রতি হাইকোর্টের অসন্তোষ
হাইকোর্ট

ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।রোববার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অসন্তোষ প্রকাশ করে।      

আদালত বলেছেন, দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যথাসময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এটা নিলে হয়তো এরকম পরিস্থিতি হতো না। যাদের সঠিকভাবে বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব ছিল তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তাদের মানসিকতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। আদালত আরো বলেন, এডিস মশার লার্ভা ও ডিম থাকে পানিতে। উনারা সেটা পরিষ্কার না করে রাস্তায় ময়লা ফেলে পরিষ্কার করলেন। এটা নেহায়েতই হাস্যকর। এভাবে এডিস মশা মারা যায় না। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের নেয়া কার্যক্রম হাইকোর্টকে জানানোর পর আদালত এসব কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে আদালত নতুন কোনো আদেশ দেননি।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল(ডিএজি) এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কতজন মারা গেছে তা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় দুইরকম তথ্য দেখছি। সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে ৪৮ জন। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে ৭২জন। এটা নিয়ে দুইরকম তথ্য কেন?

জবাবে ডিএজি বলেন, সরকারি হিসেবে ৪৮ জন। যারা ডেঙ্গুতে মারা গেছেন তাদের কারো কারো অন্য রোগ থাকতে পারে। কারো হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।

এসময় আদালত বলেন, ধরে নিচ্ছি ৪৮ জনই মারা গেছে। যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের কি অবস্থা তা একবার ভেবে দেখুন। ডেঙ্গু এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যথাসময়ে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে হয়তো এত লোককে মরতে হতো না। আদালত বলেন, শরীয়তপুর থেকে একজন ঢাকায় সেবা নিতে এসে মারা গেছে। সে যদি গ্রামে থাকতো তাহলে হয়তো তাকে মরতে হতো না।

আদালত বলেন, কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বছরের পর বছর একই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। অথচ ওই ওষুধে কাজ হচ্ছে না। একটি ওষুধ বারবার ব্যবহার করলে তা সহনীয় হয়ে যায়। এটা বুঝতে হবে। দেখুন না, এখন অ্যারোসল আর ঠিকমতো কাজ করে না।

‘নিজেরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে জনগণের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। জনগণকে তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে বলা হচ্ছে। সত্যিকারে যেখানে এডিস মশা থাকে সেখানে ওষুধ ছিটালেই তো হয়। জনগণকে সচেতন হতে হবে-এটা ঠিক। কিন্তু সব দায় জনগণের-এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’-বলে মন্তব্য করেন আদালত।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে গেলে আদালত বলেন, আমরাতো কোনো রুল জারি করিনি। আরেকটি আদালত রুল দিয়েছেন। সেখানে রিপোর্ট দিন। এসময় ডিএজি বলেন, এই আদালত মৌখিকভাবে এক আদেশে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন। তাই সরকার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এমএ/বিএস 
 

আরও পড়ুন