• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে ৩ বিচারপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে’

‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে ৩ বিচারপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে’

হাইকোর্টের ৩ বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হলে তারা ছুটির প্রার্থনা করেছেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মাননীয় তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয় এবং পরবর্তীতে তারা ছুটির প্রার্থনা করেন।’ হাইকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র সম্মেলনে এই বক্তব্য দেন। ৩ বিচারপতি  হলেন- সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক এবং এ কে এম জহিরুল হক ।

হাইকোর্টের আজকের কজলিস্টেও (কার্যতালিকা) এই ৩ বিচারপতির নাম নেই। কজলিস্টে কোন বিচারপতি কোন বেঞ্চে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন, তা লেখা থাকে। প্রধান বিচারপতি এই তালিকা করে দেন।

৩ বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘তিন বিচারপতির সাময়িক অব্যাহতির বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার।’

আর সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, শুধু এই ৩ বিচারপতি নন। আরও অনেক বিচারপতির বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ আছে।

গত ১৬ মে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিম্ন আদালতের মামলায় হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি পাল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের বিরুদ্ধে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ-সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি জারির মাধ্যমে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ রায় পাল্টে দেন বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট অর্থ ঋণ আদালতের (নিম্ন আদালত) মামলাটির সব ডিক্রি ও আদেশ বাতিল ঘোষণা করেছিলেন।

তবে এ অভিযোগে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। একইভাবে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়েও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এমএ/ এফসি

আরও পড়ুন