• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম

অবশেষে মুক্তি মিলেছে ভুল আসামি জামসু মিয়ার

অবশেষে মুক্তি মিলেছে ভুল আসামি জামসু মিয়ার

আসামি না হয়েও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মো. জামসু মিয়াকে (৩৭) মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ মিল্লাত হোসেন পুলিশ প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং মামলার বাদীর বক্তব্য নিয়ে এ আদেশ দেন।

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার উদিয়ারপাড়ার (স্কুলপাড়া) সিরাজুল হকের ছেলে জামসুকে শুধু পুলিশের ভুলে ৩৩ দিন কারাগারে থাকতে হয়। গত ৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এদিকে ভুল আসামি জামসু মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- এই মর্মে কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ জামানসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর ৪ পুলিশ সদস্য হলেন- পরোয়ানা তামিলকারী এসআই শামছুল হাবীব, এসআই ফারুক আহমেদ, তিন এএসআই আব্দুল হালিম, উজ্জ্বল ও আজিজুল।

গত ২৫ আগস্ট আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ভুল আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করে মো. জামসু মিয়ার মুক্তির আদেশ প্রার্থনা করেন। ওইদিন একই আদালত গ্রেপ্তার জামসু মিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি একই ব্যক্তি কি না এ বিষয়ে তদন্ত করে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার ওসি মোহাম্মাদ মোর্শেদ জামান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মূল আসামি মো. জামসু মিয়া (সাগর), পিতা- সিরাজ সিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের সাজা পরোয়ানা পাওয়ার পর তা তামিলের জন্য এসআই শাসছুল হাবীবের নামে হাওলা করা হয়। গত ৮ আগস্ট এসআই ফারুক আহমেদ, তিন এএসআই আব্দুল হালিম, উজ্জ্বল ও আজিজুল সোর্সের দেয়া তথ্যমতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে গ্রেপ্তার জামসু মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে কোনো মামলা নেই। তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে গ্রেপ্তার জামসু মিয়াকে মুক্তির প্রার্থনা করেন।

আজ শুনানিকালে আদালতে মামলার বাদী মাহুরা খাতুন উপস্থিত হন। তিনিও গ্রেপ্তার আসামি তার স্বামী নন বলে আদালতকে জানান।

অন্যদিকে আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ৩৩ দিন কারাগারে থাকা জামসু মিয়ার মুক্তি এবং দায়িত্বে অববেহলার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।

আদালত আদেশ দেয়ার পর আদালতে উপস্থিত জামসু মিয়ার ছেলে মো. তুষার মিয়া এবং দুলাভাই কাঞ্চন মিয়া বলেন, জামসু মিয়াকে গত ৭ আগস্ট রাতে পুলিশ ঘরে ঢুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন সাবেক চেয়ারম্যান ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে আমরা থানায় যাই। সেখানে জামসু মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকায় কোনো মামলা নেই বললেও তারা কোনো যাচাই-বাছাই না করেই আদালতে যেতে বলে।

মামলার বাদী মানহুরা বলেন, তার স্বামী জামসু মিয়া সাগরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে তিনি মামলা করেন। মামলার পর একবার জামিন নিয়ে সে ২০১৬ সালে মরিশাস পালিয়ে যায়। এখনো সে ওখানেই আছে।  

এমএ/ এফসি

আরও পড়ুন