• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:০২ পিএম

সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার চলতে আইনি বাধা নেই

সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার চলতে আইনি বাধা নেই

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম চলতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আপিল বিভাগের আজকের এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি চলতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিমুল হত্যা মামলার বিচার চলছিল। 

চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত আজকে এ আদেশ দেন। আদেশে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেয় আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম জুয়েল।

গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ আসামিরা।

বর্তমানে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।

২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে অপহরণের পর মেয়র মিরুর বাড়িতে আটকে রেখে তার দুই সহোদর কর্তৃক মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মিরুর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন মারা যান শিমুল।

এ ঘটনায় মিরু ও তার সহোদর মিন্টুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। মামলা দায়েরের ৩ মাস পর ২০১৭ সালের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি এই মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

এমএ/টিএফ

আরও পড়ুন