• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:২১ পিএম

খালেদের রিমান্ড শুনানিতে যা কথা হলো  

খালেদের রিমান্ড শুনানিতে যা কথা হলো  

অস্ত্র ও মাদক মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার ও শাহিনূর রহমান ভিন্ন ভিন্ন এই আদেশ দেন। সাত দিনের মধ্যে যথাক্রমে অস্ত্র আইনের মামলায় ৪ দিন এবং মাদক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত। ৭ দিনের এ রিমান্ড পর্যায়ক্রমে চলবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেছে।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রাত ৮টা ২৫ মিনিটে হাতকড়া পড়া অবস্থায় তাকে আদালতে তোলা হয়। প্রথমে মাদক মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর অস্ত্র আইনের মামলায় এবং মাদক মামলায় রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষে মাহামুদুল হক (মাহমুদ), সুব্রত দাসসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

অস্ত্র আইনের মামলার শুনানিতে তারা বলেন, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক। পলিটিক্যালি ভিকটিমাইজড হয়েছেন তিনি। অস্ত্রের বিষয়ে তারা বলেন, তার অস্ত্রটি লাইসেন্স করা। ২০১৭ সাল পর্যন্ত অস্ত্রটি বৈধ ছিল। এরপর আর রিনিউ করা হয়নি বলে তা অবৈধ। আর কয়েন উদ্ধারের ঘটনায় তারা বলেন, তিনি অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বাইরে বিভিন্ন স্থানে যান। তিনি স্ম্যাগলার না। তার বাসায় প্রতিটি স্থানে তন্নতন্ন করে খুঁজেছে র‌্যাব। সব কাগজপত্র তাদের কাছে রয়ে গেছে। আর টাকার বিষয়ে বলেন, তিনি বিজনেস ম্যান। তার অনেক টাকা থাকতে পারে। ডেভেলপারের কাজ করেন। লাখ লাখ টাকা সরকারকে ট্যাক্স দেন। তার বাসায় কিছু নাই। তিনি মারামারি বা কাউকে খুনও করেননি। পলিটিক্যাল ভিকটিমাইজড তিনি। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি ভদ্র, শিক্ষিত, অসুস্থ লোক। আমরা তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করছি। অন্যথায় তাকে জেলগেটে  জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।

এরপর মাদক মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে তারা বলেন, অস্ত্র মামলার এজাহার এবং মাদক মামলার এজাহার প্রায় একই। শুধু এজাহারের নিচের দিকে এসে ৫৮২ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। মানুষের কাছে লাখ লাখ টাকার ইয়াবা পাওয়া যায়, তাদের রিমান্ডে নেয় না। আর এ কয়পিস ইয়ারার কারণে তার রিমান্ড আবেদন করেছে। আমরা তার রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করছি।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়। এরপর রাত ৮টা ৫৪ মিনিটের দিকে তাকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে গুলশান ও মতিঝিল থানায় খালেদের বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামলা করা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনের আরেকটি মামলা করা হয়।

এমএ/টিএফ
 

আরও পড়ুন