• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান

গন্ধহীন নতুন ইয়াবা মিলেছে ফিরোজের কাছে

গন্ধহীন নতুন ইয়াবা মিলেছে ফিরোজের কাছে

‘কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযানের ভিন্নতা হলো এখানে নতুন ধরনের ইয়াবা পেয়েছি। যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা ইয়াবার চেয়ে আলাদা। এই ইয়াবা গন্ধহীন, তাছাড়া এর রঙ হলুদ।’

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। অভিযানে ক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সম্মেলনে বলা হয়, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযানের সময় সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ যাবৎকালে এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এ নতুন আবিষ্কার।

এছাড়া অভিযানে একটা বিদেশি পিস্তলসহ তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে আগে এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।

সফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হবে বলে জানান আশিক বিল্লাল।

এর আগে গতকাল  দুপুর দেড়টার দিকে সফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যার সোয়া ৭টার দিকে ক্লাবে অভিযান শুরু হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র‌্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।

শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।

এমএ /বিএস 
 

আরও পড়ুন