• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম

শুল্ক ফাঁকি : মিজানুর রহমান চাকলাদারের জামিন স্থগিত

শুল্ক ফাঁকি : মিজানুর রহমান চাকলাদারের জামিন স্থগিত
হাইকোর্ট

শুল্ক ফাঁকির মামলায় চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারের (দীপু) জামিন স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। 

দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আপিল বিভাগের নির্দেশনা না মানায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশ দেন আদালত। আদেশে তার জামিন আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ওইদিন (২০ অক্টোবর) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন। তবে মিজানুরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

শুল্ক ফাঁকি ও চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারকে (দীপু) আসামি করে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ওই মামলায় সেদিনই মিজানুর রহমান চাকলাদারকে গ্রেফতার করে শুল্ক গোয়েন্দারা।

২৩ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান চাকলাদারকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া। ওই জামিন বাতিল চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করে বাদীপক্ষ। আদালত গত ২৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পন না করে দায়রা জজ আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

হাইকোর্টে ওই আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হওয়ার পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গত ১০ জুলাই। এরপর তিনি হাইকোর্ট থেকে গত ১৪ জুলাই জামিন নেন। ওই জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। আবেদনের ওপর গত ২৭ আগস্ট শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত জামিন বাতিল করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

সেদিন রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। মিজানুর রহমান চাকলাদারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

এমএ /বিএস