• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম

সমাজের একটি অংশ ভোগবাদের দিকে ধাবিত : দুদক কমিশনার 

সমাজের একটি অংশ ভোগবাদের দিকে ধাবিত :  দুদক কমিশনার 
ডায়াসে বক্তব্য রাখছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম-ছবি : জাগরণ

সমাজের একটি অংশ ভোগবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নবিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আমিনুল ইসলাম বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য- সমাজের একটি অংশ ভোগবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, পারিবারিক বন্ধন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। পরিবার থেকে নৈতিক মূল্যবোধের চর্চাটা হচ্ছে না। পরিবারের পরেই মহান শিক্ষক তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা থাকে। এখানেও মানসম্মত শিক্ষা এবং উত্তম চর্চার বিকাশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের যেভাবে আত্মনিয়োগ করার কথা, শিক্ষকদের অনেকে সেভাবে দায়িত্বপালন করেন না।

নিজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, দুদক এ পর্যন্ত ১৩০টিরও বেশি গণশুনানি করেছে। নিজে তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ গণশুনানিতে উপস্থিত থেকেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে শতাধিক বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছি- শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে কিন্ত সম্মানিত শ্রেণির কিছু শিক্ষক আসেন নি। তিনি হয়তো কোচিং বা অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ছাত্ররা বলেছে, শিক্ষকরা কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই কোচিং বাণিজ্য নিয়ে কমিশন থেকে কিছু ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে এসিল্যান্ড অফিস, ভূমি অধিগ্রহণ অফিস ও সেটেলমেন্ট অফিসসমূহের প্রতি মানুষের একসময় আস্থা ছিল। এখন অফিসগুলোর প্রতি তৃণমূলের মানুষের ব্যপক হতাশা। এমনকি গণশুনানিতে এসব অফিসের কর্মকর্তারা অভিযোগকারীদের সাথে কর্কশ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলসহ বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সংসদেও বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমেই দুদক, সরকার, এনজিও, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সমন্বিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

দুদক কমিশনার বলেন, একদিন এক হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসকের চেয়ারে একজন কম্পাউন্ডারকে পেয়েছিলাম। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন নি, কম্পাউন্ডার চিকিৎসক সেজে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে আছেন। প্রথমে আমিও বুঝতে পারি নি। পরে কথা-বার্তা কিছু বলার পরে বুঝতে পারলাম উনি চিকিৎসক নন। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি, তিনি হয়তো প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নিয়েছেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।

কমিশনের উপ-পরিচালক ও পরিচালক পদমর্যাদার ৭০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

এইচএস/এসএমএম 

আরও পড়ুন