• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম

সরকারি দলের মদদ ছাড়া নদী দখল সম্ভব না: মকসুদ

সরকারি দলের মদদ ছাড়া নদী দখল সম্ভব না: মকসুদ
বক্তব্য রাখছেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ- ছবি: জাগরণ

কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, নদী দখল ও দূষণকারী কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া যাবে না, বর্তমানে নদী ও নারী সবচেয়ে বেশি বিপন্ন। তবে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মদদ ছাড়া নদী দখল সম্ভব না। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষ্যে নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন, চিহ্নিত ৪২, ৪২৩ অবৈধ নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহণ এবং সংগঠনের ১৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ৬৪ জেলায় একযোগে কর্মসূচিতে সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত সভাপতিত্ব করেন। 

আবুল মকসুদ বলেন, সরকার এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া পরিবেশবাদীদের দ্বারা নদী রক্ষা করা যাবে না। নদী আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িত সবাইকে তা বুঝতে হবে।

অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, নদী রক্ষায় যাবতীয় নীতিমালা সুস্পষ্ঠভাবে আমাদের সংগঠনের ১৭ দফায় রয়েছে। কাজেই সরকার যদি আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করে, পদক্ষেপ নেয় তাহলে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষা করা সম্ভব। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ ও হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় জনআকাঙ্খারই প্রতিফলন। নদীর অধিকার নিশ্চিত করণের জন্য এখন প্রয়োজন স্বতন্ত্র নদী আইন ও নদী আদালত-ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নদী অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। 

বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৭ দফায় স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী সুপারিশ মালা রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তÍবায়ন করলে নদী রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।  

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সহসভাপতি একেএম সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য, তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বশির উদ্দিন, জীব বৈচিত্র সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, আব্দুল হালিম সরকার, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আজম খান প্রমূখ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারাদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেণী, সিলেট, হবিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, নাটোর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ইত্যাদি জেলায় কর্মসূচি ব্যাপকভাবে পালিত হয়।


টিএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন