• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০১৯, ১২:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩, ২০১৯, ১২:২০ পিএম

সেলিম প্রধানসহ তার দুই সহযোগীর চার দিনের রিমান্ড

সেলিম প্রধানসহ তার দুই সহযোগীর চার দিনের রিমান্ড
সেলিম প্রধান - ফাইল ছবি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশে অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগীর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। 

রিমান্ডে পাঠানো তার সহযোগিরা হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোকন।

এর আগে, গত বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালতে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার দেখানো ও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং ও মাদক আইনের মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এছাড়া, রিমান্ড শুনানির জন্য আদালত বৃহস্পতিবা (৩ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছিলেন।

বুধবার (০২ অক্টোবর) গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। 

এদিকে, সেলিম প্রধানের হেফাজত থেকে দু’টি হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই দণ্ডে তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাই এয়ারওয়েজের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে তাকে আটক করা হয়। 

এরপর সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় ও বনানীর বাসায় অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, দু’টি হরিণের চামড়া, তিনটি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়।

পরের দিন অভিযান শেষ করে র‌্যাব জানায়, অনলাইনে ক্যাসিনোতে জুয়াড়িদের টাকা তিনটি গেটওয়েতে জমা হতো। সেলিম প্রধানের সহকারী মো. আক্তারুজ্জামান প্রতি সপ্তাহে সেসব গেটওয়ের টাকা তুলে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। এরপর সেসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বা ব্যক্তির সঙ্গে করে বিদেশে চলে যেতো। এমনকি, বিভিন্নভাবে লন্ডনেও টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান।

বিএস 
 

আরও পড়ুন