• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৮:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৮:০২ পিএম

দুদকে তদবির বাণিজ্য নেই : ইকবাল মাহমুদ

দুদকে তদবির বাণিজ্য নেই : ইকবাল মাহমুদ
দুদকের প্রয়াত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে নীরবতা পালন করছেন ইকবাল মাহমুদসহ অন্যান্যরা -ছবি : জাগরণ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দাবি করে বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে দুদকে তদবির বাণিজ্য শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। দুদকে এখন আর তদবির বাণিজ্য নেই। কেউ তদবির করতে সাহসও পান না।

রোববার (১৩ অক্টোবর) কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের প্রয়াত চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর শোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। 

প্রয়াত কর্মকর্তাদের সততার কাছে অনেকের ধারণা পরাজিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সততার সঙ্গে জীবন-যাপন করছেন। দুদকে তদবির নিয়ে অনেক কথা ছিল। আমি দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি আপনাদের সবার সহযোগিতায় গত সাড়ে তিন বছরে দুদকে তদবির বাণিজ্য শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত তবে তা মেনে নেয়া কঠিন। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। কীভাবে দুদকের এসব কর্মকর্তারা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আজ তা শুনছি। কীভাবে তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আত্মত্যাগ করেছেন। আসুন আমরা সবাই তাদের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করি।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, অনেকেই মনে করেন, দুদকে যারা চাকরি করেন তাদের যথেষ্ট টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে। কিন্ত আজ আমরা জানাচ্ছি, আমাদের প্রয়াত পরিচালক আবু সাঈদ এবং সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মদের কোনও অর্থবিত্ত, বাড়ি-গাড়ি নেই।

তিনি বলেন, আজ যদি সাঈদ কিংবা মঞ্জুরের কোটি কোটি টাকা থাকতো- তাহলেই বা কি হতো? তাহলে হয়তো তারা অন্যভাবে মূল্যায়িত হতেন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্তি সম্পদ তার জন্য সত্যিই বোঝা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর এই সম্পদ নিয়েই কলহের সৃষ্টি হয়।

শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপ-পরিচালক তালেবুর রহমান, রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে। 

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন