• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৮:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৮:১৩ পিএম

বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে আরও  একটি মামলার অনুমোদন

বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে আরও  একটি মামলার অনুমোদন
ফারমার্স ব্যাংকের লোগো

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনায় আরো পাঁচটি মামলা দায়ের হয়।  

রোববার (১৩ অক্টোবর) এ মামলার অনুমোদন দেয়া হয়। 

সূত্র জানায়, অনুমোদন হওয়া মামলায় চিশতীসহ ৮ জনকে আসামি করা হচ্ছে। তারা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, তার ভাই মাজেদুল হক ওরফে শামীম চিশতী, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম এম শামীম, শাবাবা অ্যাপারেলসের মালিক মো. আবদুল ওয়াদুদ ওরফে কামরুল, এডিএম ডাইং অ্যান্ড ওয়াশিংয়ের মালিক রাশেদ আলী, তনুজ করপোরেশনের মালিক মো. মেফতাহ ফেরদৌস, মোহাম্মদ আলী ট্রান্সপোর্টের মালিক মো. গোলাম সারোয়ার ও ক্যানাম প্রোডাক্টসের মালিক ইসমাইল হাওলাদার। 

অভিযুক্ত ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৮৮ কোটি ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হচ্ছে। বর্তমানে সুদসহ ওই টাকা দাঁড়িয়েছে ১১৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার।
 
প্রসঙ্গত, ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনাটি ২০১৭ সাল থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে নথিপত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক যাত্রা শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকটে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে পদ ছাড়তে বাধ্য হন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী।

এইচএস/বিএস