• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ১২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম

আদালত চত্বর এলাকায় সম্রাট সমর্থকদের ভিড় 

আদালত চত্বর এলাকায় সম্রাট সমর্থকদের ভিড় 
রাস্তার পাশসহ আদালত চত্বরে ভিড় করছেন সম্রাট সমর্থকরা

দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে আনা হচ্ছে বহিষ্কৃত ঢাকা দক্ষিণ যুব লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে। এ খবরে আদালত এলাকায় ভিড় করছেন তার কর্মী সমর্থক ও  স্বজনরা। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের সরাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যলা।     

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে শুরু করে শুরিটোলা স্কুলের সামনে রায়সাহেব বাজার এবং আদালতের সামনে জনসন রোডে সম্রাটের স্বজন এবং যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করছেন। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দারা আদালত পাড়া ও সামনের রাস্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

এদিকে রায়সাহেব বাজার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের গেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগের সমর্থকরা। তারা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টা  থেকে যুবলীগ সমর্থকদের জমায়েত হলেই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিচ্ছে ডিবি ও পুলিশ। তবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আদালত প্রাঙ্গণ।

এদিকে, ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের দাবির পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরান ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বর। আজ সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট মুক্তি পরিষদের ব্যানারে পুরো আদালত চত্বর পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।

পোস্টারে লেখা রয়েছে, সম্রাটের হাতে হাতকড়া রাজনীতিবিদরা চরম লজ্জিত। সম্রাট খুবই অসুস্থ মানবতার জননী তাকে বাঁচান।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আলোচিত যুবলীগ নেতা সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

এইচ এম/বিএস 
 

আরও পড়ুন