• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

হটলাইন চালুর অগ্রগতি : দুই মাস সময় চায় ভোক্তা অধিদফতর

হটলাইন চালুর অগ্রগতি : দুই মাস সময় চায় ভোক্তা অধিদফতর

ভোক্তাদের সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবাদানে হটলাইন চালু করতে হাইকোর্টে ২ মাস সময় চেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে এই সময় আবেদন করেছে তারা। আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

 মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, হট লাইন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করে হটলাইন স্থাপন ও চালু করা হবে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।

কামরুজ্জামান কচি সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৭ আগস্টের আদেশের প্রেক্ষিতে আমরা হটলাইন চালুতে কী করেছি তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমরা টেন্ডার নোটিশ করেছি। এর মধ্যে ৯ কোম্পানির প্রস্তাবনা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ৫ কোম্পানিকে সিলেক্ট করেছি। এরপর ২৮ দিন সময় দিতে হয়। যাচাই-বাছাই করে একজনকে অ্যাওয়ার্ড দিব। আদালত ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আপডেট দিতে বলেছে।

শিহাব উদ্দিন খান বলেন, তারা হটলাইন স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া ও স্থাপনের কাজ শেষ করার জন্য সময় নিয়েছেন। আদালত বলেছেন হটলাইন চালুর বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে। সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি করে এ হটলাইন চালু করতে।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট ৩ মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য কোনো প্রকার অজুহাত ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সে অনুসারে মঙ্গলবার অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

এর আগে, এক আদেশে গত ১৬ জুন হাইকোর্ট দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন সেবা চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ আদেশের পর ২০ আগস্ট ভোক্তা অধিকারের আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন দিয়ে জানান, এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামি-দামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাব-স্ট্যান্ডার্ড) পণ্য বাজার থেকে সরাতে করা এক রিটের শুনানিতে গত ১৬ জুন ওই আদেশ দেয়া হয়।

গত ৮ মে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ওই রিট করেন।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন