সংশ্লিষ্ট এক বিচারপতির খাসকামরায় আবরার ফাহাদ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন আইনজীবী। যে কারণে বুয়েট ছাত্র ফাহাদের হত্যার ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া রিট শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)  বিব্রতবোধ করে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।

বাদ দেয়ার আগে আদালত উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, একজন আইনজীবী এ মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের একজন বিচারপতির দফতরে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এ কারণে আমরা এ মামলা শুনব না। আমরা বিব্রত বোধ করছি।

এসময় আদালত মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করার প্র্যাকটিস বন্ধ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি সাইফুদ্দিন খালেদ।

এর আগে গত রোববার এ রিট দায়ের করা হয়।

রিটে আবরারের নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আবরাবের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।

আইনজীবী শাহিন বাবুর পক্ষে আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, আবরার ফাহাদ তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৬ অক্টোবর (রোববার) রাতে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে যাদের নাম এসেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

এমএ/ এফসি