• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০৮:৩০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম

কাউন্সিলর রাজীব গ্রেফতার, যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

কাউন্সিলর রাজীব গ্রেফতার, যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
র‌্যাবের হাতে আটক তারেকুজ্জামান রাজীব-ছবি : সংগৃহীত

চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

রাজীব ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মোহাম্মদপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন তিনি। রাতেই তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গ্রেফতার অভিযান

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম  শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, অভিযানকালে ওই বাসা থেকে ৭টি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

অস্ত্রের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রাজীব।

কাউন্সিলর রাজীব এই বাসায় কত দিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত ১৩ অক্টোবর থেকে এই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন রাজীব। তার বন্ধুকে আমরা পাইনি। তিনি বিদেশে রয়েছেন।

সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাসপোর্ট নিয়ে বন্ধুর ওই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। দেশ থেকে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আটকের পর রাজীবকে নিয়ে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। রাত আড়াইটার পর তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।

কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব নিজের এলাকায় রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। স্বঘোষিত এই ‘জনতার কমিশনার’ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ আর মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন তার সাম্রাজ্য।

২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি।

যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদ ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজীব।

গত ৪ বছরে ৮-১০টির বেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন। যার মধ্যে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টস কার রয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট।

রাজীবের বিরুদ্ধে এলাকার ফুটপাত, সিএনজি স্টেশন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাসে কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।

রাতেই যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রাজীবকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

তিনি জানান, চলমান অভিযানে যুবলীগের কেউ দুর্নীতি বা অন্য কোনও কারণে গ্রেফতার হলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা ছিল আমাদের। সেই মোতাবেক রাজিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন