• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম

ভোলার ঘটনায় এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট

ভোলার ঘটনায় এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট
ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

ভোলায় জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও বহু আহত হওয়ার ঘটনায় এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই ঘটনাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্যও করেছে আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোলার ঘটনা নজরে আসার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

ভোলার ওই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী রনিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতেই হতাহত হয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে তদন্ত করলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। এ সময় তিনি ভোলায় ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশ চান। তখন আদালত বলেন, এ ঘটনা সরকার দেখছে। এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। আমরা এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করব না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা দেখব।

পুলিশের তদন্তে ভোলার ঘটনার মূল রহস‌্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

রোববার (২০ অক্টোবর) ফেসবুকে কটূক্তি করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ভোলায় ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও ১০ পুলিশসহ প্রায় দেড় শতাধিক আহত হন।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ফেসবুকে কটূক্তিপূর্ণ একটি পোস্ট করা হয়। এই নিয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বিক্ষোভ মিছিল না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন ও বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানানো হয়। সাধারণ মানুষ আসার আগে মিছিল বন্ধ ঘোষণা করতে বলা হয়। তাদের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকে উপস্থিত জনসাধারণকে নিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত করেন। ততক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা ওই দুই ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হন। সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ‌্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ নিজেদের বাঁচানোর জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে সেখানে থাকা মুসল্লিরা আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ জন নিহত হন।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন