• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

নুসরাত হত্যার ১৬ আসামি ও ঘটনাক্রম

নুসরাত হত্যার ১৬ আসামি ও ঘটনাক্রম

অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। এ কারণে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আলোচিত সেই ঘটনার মামলার রায়ে ১৬ জন আসামিরই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলার ৭ মাসের মধ্যে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ এ রায় দেন। বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।  

এ রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের শাস্তি হয়েছে। সকল কিছু ছাড়িয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশে কোনো অপরাধীর অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নেই। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা ও ভাই। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)- এর ৪ (১) ও ৩০ ধারায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ হয়। কারও গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অপরাধে এই আইনের ৪ (১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড। আর ৩০ ধারায় এই ধরনের হত্যায় প্ররোচনাও দণ্ডনীয়।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৬ আসামির কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল :

এই মামলার ১৬ জন আসামির মধ্যে নুসরাতের তিন সহপাঠী কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ও জাবেদ হোসেন ছাড়াও শাহাদাত হোসেন ও জোবায়ের আহমেদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন বলে আসামিদের জবানবন্দি ও পিবিআইর তদন্তে উঠে আসে। হত্যার পর তার তিন সহপাঠী পরীক্ষার হলে ঢুকে আলিম পরীক্ষাও দিয়েছেন। ঘটনার পর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ এবং দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মামলায় এজহার নামায় ৮ জনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

১. অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা: তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ না নিলেও নির্দেশ দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নুসরাতের যৌন হয়রানির মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ, তাতে কাজ না হওয়ায় ভয়-ভীতি দেখানো এবং পরে নুসরাতকে হত্যার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেন তিনি।

২. নূর উদ্দিন: নুসরাত হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নূর উদ্দিন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার আগে রেকি করা ছিল তার দায়িত্ব। আর ভবনের ছাদে আগুন দেয়ার সময় নিচে থেকে পুরো ঘটনার তদারকি করা ছিল তার দায়িত্ব।

৩. শাহাদাত হোসেন শামীম: শামীম নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। সে জন্য তার ক্ষোভ ছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়, হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে কার কী ভূমিকা হবে সেই পরিকল্পনা সাজান শামীম। কাউন্সিলর মাকসুদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে তিনি তার বোরখা ও কেরোসিন কেনার ব্যবস্থা করেন। নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় তিনি হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বোরখা ও কেরোসিন ঢালতে ব্যবহৃত গ্লাসটি উদ্ধার করে পিবিআই।

৪. কাউন্সিলর মাকসুদ আলম: অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা গ্রেপ্তার হলে ২৮ মার্চ তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বোরখা ও কেরোসিন কেনার জন্য তিনিই ১০ হাজার টাকা দেন। পিবিআই বলছে, পুরো ঘটনার আগাগোড়াই তিনি জানতেন।

৬. জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ: বোরখা পরে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়ার অভিযোগ জাবেদের বিরুদ্ধে। পা বাঁধা হলে পলিথিন থেকে কেরোসিন গ্লাসে ঢেলে তিনি নুসরাতের গায়ে ছিটিয়ে দেন এবং সব কাজ শেষে বোরখা খুলে পরীক্ষার হলে ঢুকে যান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

৭. হাফেজ আব্দুল কাদের: নুসরাতের ভাই নোমানের বন্ধু কাদের সেদিন মাদ্রাসার মূল ফটকে পাহারায় ছিলেন বলে অভিযোগ। নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়া হলে দুই মিনিট পরে তিনিই ফোন করে নোমানকে বলেছিলেন, তার বোন গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

৮. আবছার উদ্দিন: ঘটনার সময় তিনি গেইটে ছিলেন পাহারায়। মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়াও তার দায়িত্ব ছিল বলে অভিযোগ।

৯. কামরুন নাহার মনি: আসামি শামীমের দূর সম্পর্কে ভাগ্নি কামরুন্নাহার মনি ২ হাজার টাকা নিয়ে দুটি বোরখা ও হাতমোজা কেনেন। হত্যাকাণ্ডে তিনি সরাসরি অংশ নেন বলে অভিযোগ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ছাদের ওপর নুসরাতের হাত বাঁধা হলে তাকে শুইয়ে ফেলে বুকের ওপর চেপে ধরেন মনি। আগুন দেওয়া হলে নিচে নেমে এসে আলিম পরীক্ষায় বসেন।

১০. উম্মে সুলতানা ওরফে পপি: অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি সেদিন নুসরাতকে ডেকে ছাদে নিয়ে যান। পরে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তাতে রাজি না হওয়ার নুসরাতের ওড়না দিয়ে তার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে পা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ।

১১. আব্দুর রহিম শরীফ: ঘটনার সময় তিনি মাদ্রাসার ফটকে পাহারায় ছিলেন। পরে তিনি ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালান।

১২. ইফতেখার উদ্দিন রানা: মাদ্রাসার মূল গেইটের পাশে পাহারায় ছিলেন।

১৩. ইমরান হোসেন ওরফে মামুন: মাদ্রাসার মূল গেইটের পাশে পাহারায় ছিলেন।

১৪. মোহাম্মদ শামীম: সাইক্লোন সেন্টারের সিঁড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন। কেউ যেন ওই সময় ছাদে যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব ছিল বলে অভিযোগ।

১৫. রুহুল আমীন: মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন শুরু থেকেই এ হত্যা পরিকল্পনায় ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পর শামীমের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাতেও তার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

১৬. মহিউদ্দিন শাকিল: ঘটনার সময় সাইক্লোন সেন্টারের সিঁড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন।

অভিযোগপত্রে ঘটনার বর্ণনা :

৮০৮ পৃষ্ঠার ওই অভিযোগপত্রে ‘হুকুমদাতা’ হিসেবে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ১৬ জন আসামির মধ্যে ১২ জন আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, শ্লীলতাহানির মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেপ্তার হলে তার অনুগতরা ক্ষিপ্ত হন।

১ এপ্রিল শাহাদাত হোসেন শামীম, নূরু উদ্দিন, ইমরান, হাফেজ আব্দুল কাদের ও রানা জেলখানায় গিয়ে সিরাজের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই অধ্যক্ষ সিরাজ তার মুক্তির চেষ্টা চালাতে এবং মামলা তুলে নিতে নুসরাতের পরিবারকে চাপ দিতে বলেন। হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর পরও মামলা না তোলায় আসামিরা আলোচনা করে ‘প্রয়োজনে যে কোনো কিছু’ করার পরিকল্পনা করে।

সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম এ কাজে শাহাদাত হোসেনকে ১০ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে দুই হাজার টাকা দিয়ে কামরুন নাহার মনি দুটি বোরকা ও চার জোড়া হাতমোজা কেনেন।

৩ এপ্রিল শামীম, নূর উদ্দিন, আব্দুল কাদেরসহ কয়েকজন কারাগারে গিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে দেখা করেন। সিরাজ তখন নুসরাতকে ভয়ভীতি দেখানোর এবং প্রয়োজনে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দেন এবং ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর নির্দেশ দেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন বিকালে মাদ্রাসার পাশে টিনশেড কক্ষে শাহাদাত হোসেন শামীম, নূর উদ্দিন, জোবায়ের, জাবেদ, পপি ও মনিসহ কয়েকজন বৈঠক করেন। সেখানে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

৬ এপ্রিল সকাল ৭টার পর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে চলে যান শাহাদাত হোসেন শামীম, নূর উদ্দিন ও হাফেজ আব্দুল কাদের। সকাল সোয়া ৯টার মধ্যে আসামিরা পরিকল্পনা অনুযায়ী যার যার অবস্থানে চলে যান। শাহাদাত হোসেন শামীম পলিথিনে করে আনা কেরোসিন অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে থেকে একটি কাচের গ্লাস নিয়ে ছাদের বাথরুমের পাশে রেখে দেন। মনির কেনা দুটি এবং বাড়ি থেকে নিয়ে আসা একটি বোরখা এবং চার জোড়া হাতমোজা নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের তৃতীয় তলায় রাখা হয়। শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ ও জোবায়ের সাড়ে ৯টার দিকে বোরখা ও হাতমোজা পরে তৃতীয় তলায় অবস্থান নেন।

নুসরাত পরীক্ষা দিতে এলে পরিকল্পনা অনুযায়ী উম্মে সুলতানা পপি তাকে মিথ্যা কথা বলে ছাদে নিয়ে আসেন। নুসরাত ছাদে যাওয়ার সময় পপি তাকে ‘হুজুরের’ বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত তাতে রাজি না হয়ে ছাদে উঠে যান। মনি, শাহাদাত হোসেন শামীম, জোবায়ের ও জাবেদও সে সময় নুসরাতের পিছু পিছু ছাদে যান।

ছাদে তারা নুসরাতকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন এবং কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। নুসরাত স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শামীম বাঁ হাত দিয়ে নুসরাতের মুখ চেপে ধরেন এবং ডান হাত দিয়ে নুসরাতের হাত পেছনে নিয়ে আসেন।

যেভাবে আগুন দেয়া হয়েছিল নুসরাতের দেহে:

পিবিআইর চিত্রে ঘটনাউম্মে সুলতানা পপি তখন নুসরাতের ওড়না খুলে জোবায়েরকে দেন। জোবায়ের ওড়না দুই ভাগ করে ফেলেন। পপি ও মনি ওড়নার একাংশ দিয়ে নুসরাতের হাত পিছন দিকে বেঁধে ফেলেন। অন্য অংশ দিয়ে নুসরাতের পা বেঁধে ফেলেন জোবায়ের। জাবেদ পায়ে গিট দেন। সবাই মিলে নুসরাতকে ছাদের ওপর শুইয়ে ফেলেন তারা। শাহাদাত তখন নুসরাতের মুখ ও গলা চেপে রাখেন। নুসরাতের বুকের ওপর চাপ দিয়ে ধরেন মনি। পপি ও জোবায়ের পা চেপে ধরে। জাবেদ বাথরুমে লুকানো গ্লাস নিয়ে এসে কেরোসিন ঢেলে দেন নুসরাতের গায়ে। শাহাদাতের ইশারায় জোবায়ের ম্যাচ জ্বেলে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

আগুন ধরানোর পর প্রথমে ছাদ থেকে নামেন জোবায়ের। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী মনি ‘ওরফে চম্পা/শম্পা’ বলে ডেকে পপিকে নিচে নিয়ে যান। তারা নিচে নেমে পরীক্ষার হলে ঢুকে যান। যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় আগুনে পুড়িয়ে মারা ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা, মা ও দুই ভাই সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।

হত্যাকাণ্ড শেষ করে আসামিরা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে অগ্নিদগ্ধ নুসরাত নিচে নেমে এলে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল ও নাইটগার্ড তার গায়ের আগুন নেভায়। নূর উদ্দিনও ওই সময় নুসরাতের গায়ে পানি দেন। আর হাফেজ আব্দুল কাদের ফোন করে নুসরাতের ভাই নোমানকে জানান, তার বোন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। দেহের ৮০ শতাংশ জুড়ে আগুনের ক্ষত নিয়ে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ঘটনা একইভাবে বর্ণনা করেন বলে অভিযোগপত্রে তুলে ধরা হয়েছে।

ঘটনাক্রম:

২৭ মার্চ: নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধ, অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেফতার।
৬ এপ্রিল: পরীক্ষার হল থেকে ছাদে নিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন
৮ এপ্রিল: ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে নুসরাত, মামলা দায়ের।
১০ এপ্রিল:  নুসরাতের মৃত্যু, মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর।
২৯ মে: ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল।
৩০ মে: হাকিম আদালত থেকে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর।
১০ জুন: অভিযোগপত্র আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল, গ্রেপ্তার পাঁচজনকে অব্যাহতি।  
২০ জুন: ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন।
২৭ জুন: বাদীর সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুনানি শুরু।
৯ সেপ্টেম্বর: সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ।
৩০ সেপ্টেম্বর: রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।


এএইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন