• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম

ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ কারাবন্দি

দেশের কারাগারগুলোতে তীব্র চিকিৎসক সংকট

দেশের কারাগারগুলোতে তীব্র চিকিৎসক সংকট

সারাদেশে কারাবন্দির সংখ্যা কারাগারের ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসক আছেন দশ শতাংশেরও কম। সে হিসেবে তীব্র চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে কারাগারগুলোতে। হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১০ জন। আর ৪০ হাজার ৬৬৪ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দি রয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন (২৭ আগস্ট পর্যন্ত)। কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন ও আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কারা চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ১০ জন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে কারা-চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। তাই, সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই। এদিকে, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪ জন যোগদান করেন। বাকি ১৬ জন এখনো যোগদান করেননি।

কেন ওই ১৬ জন যোগদান করেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মো. জে আর খাঁন রবিন। এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন তিনি।

২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা-চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

এর বিবাদীরা হচ্ছেন আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শক।


এমএ/টিএফ 

আরও পড়ুন