• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৪:০২ পিএম

তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ

তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ-ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে অপসারণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা-ভঙ্গ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর এসএম নাহিদা নাজমীনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ হতে অপসারণ করা হলো।’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে  ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান।

তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ‘‘তাকে (তুরিন আফরোজ) মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ওই আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে জানিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে বলেন। এ বিষয়ে ওয়াহিদুল হকের কাছে প্রসিকিউটর তুরিন মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।’

বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার নজরে এলে প্রসিকিউটর তুরিনকে এ মামলা থেকে প্রাথমিকভাবে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলা অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলা (তার হাতে থাকা) থেকেও তুরিনকে অব্যাহতি দেন চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ৭ মে তুরিন আফরোজকে সংশ্লিষ্ট ওয়াহিদুল হকের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন চিফ প্রসিকিউটর। পরদিন তাকে প্রসিকিউশনের সব দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের দুটি চিঠি, তার (তুরিন আফরোজ) সঙ্গে আসামির কথোপকথনের সিডিসহ যাবতীয় নথি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এর আগে, চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু সই এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তাকে মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়

এমএ/একেএস/এসএমএম

আরও পড়ুন