• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০২:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০২:৩২ পিএম

সাগর-রুনি হত্যা মামলা

৮ বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি, হাইকোর্টের অসন্তোষ

৮ বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি, হাইকোর্টের অসন্তোষ
সাগর-রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

সোমবার (১১ নভেম্বর) এ অসন্তোষ প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত শুনানিতে আদালত বলে, হত্যাকাণ্ডের পর আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত শেষ হল না। এটা কি তাহলে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবেই তালিকাতে থেকে যাবে?

শুনানির শুরুতে আদালতের তলবে হাজির হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোন্দকার শফিকুল আলম বলেন, এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে। এই মামলার জব্দকৃত আলামতের ডিএনএ টেস্টের জন্য আমেরিকার একটি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তখন আদালত বলেন, তাহলে কি আমেরিকায় ডিএনএ টেস্টের রেজাল্টের ওপর এ মামলার ভবিষ্যত নির্ভর করছে। 

এসময় তদন্ত কর্মকর্তা ‘হ্যা’ সূচক জবাব দেন।

আদালত বলেন, আট বছর পার হয়ে গেল এখনও এ মামলার তদন্ত শেষ হলো না। এদিকে এ মামলার কারণে তানভীর রহমান বিয়ে করতে পারছে না। যখনই শোনে সাগর-রুনি মামলার আসামি তখন তো কেউ বিয়ে দিতে চান না। এ অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?’ এমন প্রশ্ন রাখে আদালত।

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতে বলেন, আপনারা এই মামলার তদন্ত শেষ করতে একটা সময় সীমা বেঁধে দিতে পারেন।

তখন আদালত বলে, ‘আট বছরের মামলার তদন্ত শেষ হলো না। এ মাসে আর কি হবে? 

পরে আদালত এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিন ধার্য করে।

এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার নথি (সিডি) নিয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়।

এ হত্যা মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে তানভীর রহমানের নামের এক ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে আদালত এ আদেশ দেয়।

আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না- সে বিষয়ে রুলও জারি করে আদালত।

আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান মেঘ।

হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমানের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব যায় ডিবির পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে। এরপর একে একে সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাতবদল হয় মামলাটি।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন