• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ১১:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ১১:৩৬ এএম

মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর

মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন বৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছরই হবে।

হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া এই রায়ের পূর্ণাঙ্গরূপ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট জাতীয় সংসদকে আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করতে বলতে পারেন না।

এর আগে, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচরপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে।

২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করা বৈষম্যমূলক হয়েছে। এ কারণে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৬১ বছর পর্যন্ত সব সুবিধা দেবে বলে মনে করি।

বিচারপতির গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান খান ও গাজী মোশতাক আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।

সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মশির উদ্দিন ওয়ারেশী ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার সাহার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন। পরে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সরকার ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা ১ বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে। এ অবস্থায় চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধা গত বছর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে রুল জারি করেন আদালত। এরপর রিট আবেদনকারীরা ২০১৩ সালের আইনের সংশোধনী বাতিল চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন।

এমএ/একেএস
    

 

আরও পড়ুন