• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৭:৫০ পিএম

‘অধিদফতরের অনেকের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে’

‘অধিদফতরের অনেকের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে’
ইকবাল মাহমুদ -ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, মাদকদ্রব্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনায়ও কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সমাজে অনেক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতারও অভিযোগ রয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জীয় কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নিজেদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন না করতে পারলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। আবার এসব কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও চিকিৎসার নামে অসহায় পরিবারগুলোর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব বন্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আপনারই জানেন কারা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন। আপনারা প্রয়োজনে নিজেদের নাম গোপন রেখে মাদকব্যবসায়ীদের অবৈধ মাদক ব্যবসা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য কমিশনে পাঠান। আপনাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে।  আমরা শুধু তথ্য চাই।  তথ্য পেলেই অপরাধীদের আমলে নিয়ে আসা হবে।  দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলে আমরা সবাই একত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই। এখানে আপসের সুযোগ নেই।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা। মাদক ব্যবসায়ী-যাদেরকে অনেকে গডফাদারও বলেন এদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কমিশন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিকট যে তালিকা নিয়েছিল-সেই তালিকা অনুযায়ী কমিশন তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

মাদকবিরোধী অভিযানে দেশে মাদকের ব্যাপকতা কিছুটা হলেও কমেছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখনো প্রায়শ সড়কে দেখা যায় পথশিশুরা পলিথিনে করে ড্যান্ডির মাধ্যমে সৃষ্ট ধোয়ায় নেশা করছে। এদেরকে চিহ্নিত করে সমাজকল্যাণে বিভাগের মাধ্যমে পুনর্বাসন অথবা সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ এই শিশুদের দেখে অন্য শিশুরাও মাদক বা নেশার প্রতি প্রলুব্ধ হতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়েই মাদকদ্রব্য দেশে আসছে। তাই সীমান্তে যারা এসব নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সবাইকে মনে রাখতে হবে দেশের কোথায়, কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করেন- এ তথ্য কমিশনের কাছে চলে আসে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন তাদের তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এইচএস/একেএস

আরও পড়ুন