• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম

বিচারপতিপুত্রকে সরাসরি আইনজীবী ঘোষণা : ব্যারিস্টার সুমনের রিট

বিচারপতিপুত্রকে সরাসরি আইনজীবী ঘোষণা : ব্যারিস্টার সুমনের রিট
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন -ফাইল ছবি

হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর ছেলে জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট আবেদন করেন।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 

তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান সৈয়দ সায়েদুল হক।

আইনজীবী তালিকাভুক্ত হওয়ার আইন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা জানান, আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন এবং কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত বা স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক অথবা আপনি যদি হন একজন ব্যারিস্টার, তাহলে আইনজীবী হতে হলে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

পরীক্ষার চার ধাপ
প্রথমে ছয় মাস শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করবেন এ মর্মে এমন একজন সিনিয়রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে। তবে সিনিয়রের কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত ওকালতি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার সঙ্গে থাকবে একটি অ্যাফিডেভিট। আর থাকবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুকূলে নির্ধারিত ফির ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার প্রেরণের রশিদ। আইনে স্নাতক পরীক্ষা বা অন্য কোনো ডিগ্রিপ্রাপ্তির পরীক্ষা প্রদানের পরপরই অনতিবিলম্বে উল্লিখিত চুক্তিপত্র, অ্যাফিডেভিট ও ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার প্রেরণের রসিদ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সেক্রেটারি বরাবর পাঠিয়ে দিতে হবে।

কাগজপত্র বার কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বার কাউন্সিল আপনার বরাবর একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করবে। সেখানে আপনাকে একটা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হবে। ছয় মাস অতিক্রান্ত হলে অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির পরবর্তী লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে আপনাকে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু কাগজপত্র সংযুক্তি সাপেক্ষে আবেদনপত্র প্রেরণের আহ্বান জানানো হবে:

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুকূলে পরীক্ষার নির্ধারিত ফি বাবদ নির্ধারিত টাকা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ব্যাংকে বার কাউন্সিলের অ্যাকাউন্টে নগদ জমা দেয়ার রশিদ, সিনিয়রের কাছ থেকে শিক্ষানবিশি সমাপনসংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র, পূর্ণ বিবরণসহ পরীক্ষার্থী ও তার সিনিয়রের স্বাক্ষর, সিলমোহর ও তারিখযুক্ত কমপক্ষে পাঁচটি দেওয়ানি ও পাঁচটি ফৌজদারি মামলার তালিকা, যার শুনানিকালে পরীক্ষার্থী নিজে তার সিনিয়রের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, এগুলোর সঙ্গে থাকতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ, চারিত্রিক সনদ ও ছবি।

লিখিত পরীক্ষা
সফলভাবে সমাপ্ত হলে বার কাউন্সিল থেকে আপনার ঠিকানায় ডাকযোগে চলে যাবে লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে আপনাকে। প্রতিবছর এ পরীক্ষা দু’বার অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে বছরে একবারও এ পরীক্ষা হয়।

মৌখিক পরীক্ষা
পঠিত সব আইনি বিষয়ের ওপর ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় একই সঙ্গে পর্ব-২-এ উল্লিখিত ১০ মামলার বিষয়ে কেস ডায়েরি দাখিল করতে হবে। তবে ব্যারিস্টারদের কেস ডায়েরি দাখিলের প্রয়োজন পড়ে না।

এএম/একেএস
 

আরও পড়ুন