বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত অঙ্গণের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি এবং গাড়ি ভাঙচুর প্রসঙ্গটি আজ আদালতে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শুনানিতে এসব কথা উঠে আসে।
শুনানিতে খালেদার জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মাইলর্ড কোর্টে আসলাম মামলার শুনানি করতে। কিন্তু কোর্টের বাইরে পুলিশের তল্লাশি, নিরাপত্তা দেখে আমাদেরতো কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে আজ এই জামিন শুনানি হয়।
প্রধান বিচারপতি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আপনারা আগের দিন হাইকোর্টের সামনে এসে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর করলেন, আমাদেরও একই অবস্থা হয়েছিল।’
জবাবে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক বিষয়। মাঠে ময়দানের বিষয় মাঠেই থাকুক।’
এরপর জামিনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাইলর্ড আমরা মামলার মেরিটে বলতে চাই না। মানবিক কারণে জামিন চাই। তিনি বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে রয়েছেন। মানবিক কারণে তার জামিন চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনো মেডিকেল রিপোর্ট নেই। তাই উপস্থাপন করতে পারছি না। আমরা গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তার কাছে মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছি। তিনি আমাদের রিপোর্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে বলেছেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে রিপোর্ট দেওয়া যাবে না।’
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমাকে মেলাইন করা হচ্ছে।আমি ভিসিকে কিছুই বলিনি।’
এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাইলর্ড আপনি চাইলে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করতে পারেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতি আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই দিন জামিনের আদেশের জন্য ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের প্রতিটি গেট ও কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
এমএ /বিএস