• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৯:০৯ পিএম

আইনজীবীদের আলাদা হাঁটতে বললেন ফখরুল

আইনজীবীদের আলাদা হাঁটতে বললেন ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -ফাইল ছবি


নাশকতার এক মামলায় আগাম জামিন নিয়ে আদালতের কক্ষ থেকে বের হওয়ার আইনজীবীদের চাপাচাপিতে মেঝেতে পড়ে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তাকে টেনে তুলে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবীরা আবার আগের মতো হাত ধরাধরি করে হাঁটতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের আমাকে ধরার প্রয়োজন নেই। আলাদা আলাদা হাঁটেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে হাইকোর্টের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়েরগেট দিয়ে বের হওয়ার সময় পড়ে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। 

বৃহস্পতিবার বিকালে হাইকোর্টের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একত্রে বের হন। পরে কোর্টের পাশেই অবস্থিত সিঁড়ি দিয়ে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দোতলায় উঠে যান। মির্জা আব্বাসকে আদালতের বারান্দা দিয়ে এগিয়ে দেয়ার জন্য আইনজীবীরা ধরাধরি করে হাঁটতে থাকেন। এর মধ্যে আইনজীবীরা দ্রুত হাঁটার সময় হুড়োহুড়ি আর টানাটানিতে মাটিতে বসে পড়েন ফখরুল। পরে তাকে টেনে তোলেন আইনজীবীরা। এরপর তিনি অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের গেট দিয়ে বের হয়ে যান।

এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪ নেতাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাইকোর্ট।

মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্য নেতারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আইন সম্পাদক কায়সার কামাল।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আট সপ্তাহ সময়ের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে (নিম্ন আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত।

গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঘটনার পর ওইদিনই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির মোট ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন