• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

দুর্নীতি মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন

দুর্নীতি মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন

৪ কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুদকের কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে গত ১০ জুলাই মামলা করে দুদক। দায়ের করা ওই মামলায় বিচারপতি এস কে সিনহা ও ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীমসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-  ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান, একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘গত বছরের অক্টোবরে দুদকের অনুসন্ধানে ফারমার্স ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে।মামলার আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন ওই ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের সেই টাকা পরে বিচারপতি সিনহার ব্যাংক হিসাবে যায়। টাকার উৎস হিসেবে বাড়ি বিক্রির কথা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।’

মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) শুলশান শাখা ও প্রধান কার্যালয়। ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর।

মামলাটি দায়ের করা হয় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায়।

২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন