• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম

‘পাকিস্তানি কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরাও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন’

‘পাকিস্তানি কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরাও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন’

মুক্তিযুদ্ধকালে দেশে-বিদেশে একটাই স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। 

‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে একটাই স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’।

তখন আদালত বলে, ‘শুধু দেশে না। একাত্তরে যখন মহান মুক্তিযুদ্ধ চলে, তখন দেশে ও বিদেশে একটাই স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। এছাড়া পাকিস্তানেও কিছু কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিয়েছেন। এমনকি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে গুলি করার আগে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিয়েছেন।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে এর আগে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। ওই রুলে, ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব ও শিক্ষাসচিবকে জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাব এলে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করে।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন