• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৮:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম

সাংবাদিক আতিক হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার

সাংবাদিক আতিক হত্যা : হাইকোর্টের রায় রোববার

সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মামলার শুনানি সম্পন্ন করে রায় ঘোষণার এই নতুন দিন ধার্য করা হয়।

বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত  হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান।

এর আগে, ২০১৪ সালের ২৪ জুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন নিম্ন আদালত। রায়ে একজনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পলাতক এক আসামিকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ে শাকিল সিকদারকে ফাঁসি দেন নিম্ন আদালত। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে। আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নাহিদের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার রামনগরহাটি গ্রামে। ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালির কেউরাবুনিয়া গ্রামে।

পলাতক বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন আতিক। বড় মগবাজারের ১৮০/৩ নয়াতলায় থাকতেন তিনি। পথে ঢাকা-টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সন্ত্রাসীরা আতিকের পেটে দুটি গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আতিক মারা যান।

পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবুবকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ৯ আগস্ট ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন