• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম

এনটিভির আতিক হত্যা : মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

এনটিভির আতিক হত্যা : মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি হলেন শাকিল সিকদার।

বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) এই রায় দেন। রায়ে দুজনের যাবজ্জীবনও বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকান।
পলাতক বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে তিন বছরের দণ্ড দেয়া হয়। এ সাজাও বহাল রাখা হয়েছে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল হক জহির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান।

গত ৪ ডিসেম্বর এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

২০১৪ সালের ২৪ জুন আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন নিম্ন আদালত। রায়ে শাকিল সিকদারকে ফাঁসি দেন নিম্ন আদালত। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে। এছাড়া, আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। নাহিদের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার রামনগরহাটি গ্রামে এবং ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালীর কেউরাবুনিয়া গ্রামে। বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে তিন বছরের দণ্ড দেয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন আতিক। বড় মগবাজারের ১৮০/৩ নয়াতলায় থাকতেন তিনি। পথে ঢাকা-টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিং মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সন্ত্রাসীরা আতিকের পেটে দুটি গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আতিক মারা যান।

পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ৯ আগস্ট ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন