• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম

বুড়িগঙ্গার সুয়ারেজ লাইন সরাতে ৬ মাস সময় পেল ওয়াসা

বুড়িগঙ্গার সুয়ারেজ লাইন সরাতে ৬ মাস সময় পেল ওয়াসা

বুড়িগঙ্গা নদীতে মিলিত হওয়া ওয়াসার সব সুয়ারেজ লাইন সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এসব লাইন সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।আদেশ বাস্তবায়নে ঢাকা ওয়াসাকে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

বুড়িগঙ্গায় ‘ঢাকা ওয়াসার কোনও সুয়ারেজ লাইন পতিত হয়নি’ মর্মে গত ১৮ জুন ওয়াসার পক্ষ থেকে দেয়া অসত্য তথ্যের জন্য হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। পরে ওয়াসার সুয়ারেজ লাইন নিয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করে আদালত।

ছয় মাস সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে ওয়াসার পক্ষে আবেদন করেন আইনজীবী উম্মে সালমা। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  আমাতুল করিম। 

আইনজীবীরা জানান, বুড়িগঙ্গায় ঢাকা ওয়াসার কোনও সুয়ারেজ লাইন পতিত হয়নি বলে গত ১৮ জুন ওয়াসার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দেয়া অসত্য তথ্যের জন্য হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াসার এমডি। তবে আদালত এই আবেদন রেখে দিয়েছেন।

আদালত বলেছে, সুয়ারেজ লাইন সরানোর ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার দুই তীরে গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় পড়ছে সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী এক মাসের মধ্যে বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

১৮ জুন (মঙ্গলবার) ওয়াসার দেয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনও সুয়ারেজ লাইন নেই। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ৬৭টি স্থান দিয়ে বর্জ্য পড়ছে। তার মধ্যে ওয়াসার লাইন ১৬টি। ওয়াসার এই দুই ধরনের প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ অবস্থায় ওয়াসা ওইদিন তাদের ২ ডিসেম্বর দেয়া প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং রোববার (৮ ডিসেম্বর) নতুন করে জবাব দাখিল করে। এই জবাবে ১৮ জুনের প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সুয়ারেজ লাইন সরাতে ছয় মাস সময় চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে আদালত উল্লিখিত আদেশ দেন।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সে জন্য সবধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। যা নদীর পানিকে দূষিত করছে। যা এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি চলছে।

এমএ/এসএমএম 

আরও পড়ুন