• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৩:১৬ পিএম

ফ্ল্যাটে ৮০ লাখ টাকা : তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

ফ্ল্যাটে ৮০ লাখ টাকা : তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

রাজধানীর নর্থ রোড (ভূতের গলি) এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিকের দুর্নীতির মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জামিন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আগামী ৩০ জানুয়ারি তদন্তের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  শফিক আহমেদ ও কামরুল ইসলাম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, আজ তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। আদালত এ মামলার তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ৩০ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা এটা জানাবেন। জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।

এর আগে, ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন পার্থ গোপাল বণিক। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

গত ২৮ জুলাই বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। এরও আগে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে।

ওইদিন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।

গত ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন