• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম

খালেদার মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মুখে কুলুপ

খালেদার মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের মুখে কুলুপ
খালদা জিয়া-ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে দায়িত্বশীল কেউ তা নিশ্চিত করেছেন না। তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রতিবেদন পেয়েছে কিনা?- এই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার বা অস্বীকার না করে দৈনিক জাগরণকে তিনি সাফ বলেন, ভাই এই ব্যাপারে কিছু জানি না।

রেজিস্ট্রার জেনারেল মুখপাত্র হিসেবে এই বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন- এ কথা বলার পরেও সাইফুর রহমান মুখে কুলুপ এঁকে বসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি তো একবার বলেছি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএসএমএমইউ থেকে সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার মেডিক‌্যাল রিপোর্ট পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট আসার বিষয়টি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপিল বিভাগে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করার জন্য দিন ধার্য আছে।

ছয় চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন ও সুপারিশ করছেন এই রিপোর্টে।

রিপোর্টের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনও কথা বলব না। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করুন। যা বলার তিনিই বলবেন।

এর আগে আপিল বিভাগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়েও মুখ বন্ধ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।  যদিও এরই মধ্যেই আপিল বিভাগে আটটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীর্তি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের আশেপাশের নিরাপত্তা পর্যক্ষেণ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঁইয়াকে নিয়ে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল।

তবে নির্ধারিত দিনে সেটি আদালতে না আসায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য‌্য করা হয় এবং ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়।

জামিন শুনানি পিছিয়ে দেয়ার কারণে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

এমএ/এসএমএম