• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৮:২০ পিএম

পরিবহন সেক্টরের কাছে মানুষ জিম্মি : হাইকোর্ট

পরিবহন সেক্টরের কাছে মানুষ জিম্মি  : হাইকোর্ট
কিছুতেই সড়কে শৃঙ্খলা আসছে না -ফাইল ছবি

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি আইন করেছে সরকার। সেটাও কার্যকর হচ্ছে না। একটি গোষ্ঠী সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) গ্রিনলাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারের ক্ষতিপূরণের রুলের শুনানিতে এসব কথা বলে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। 

আদালত বলেন, দেশের মানুষ তো এই সেক্টরের (পরিবহন) কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কিছু হলে শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়। একজন মানুষ (ইলিয়াস কাঞ্চন) নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা জীবন আন্দোলন করছেন, অথচ তাকে হেয় করল শ্রমিকরা। কিন্তু তিনি তো নিজের জন্য আন্দোলন করছেন না।

আদালত আরও বলে, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিলো মানুষ, গরু-ছাগল চিনলেই হয়। দায়িত্বশীল পদে থেকেও তো এরকম কথা বলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় কি শুধু সাধারণ মানুষ মারা যায় চালকও তো মারা যায়। সেটাও তো পরিবহন মালিকদের লক্ষ্য রাখা উচিত। একজন চালক মারা গেলে তার পরিবারকে কি ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়?

রাসেলের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলে, ও তো গরিব ছেলে। মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তো ওকে ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। আপনাদের পরিবহন মালিকদের কোটি কোটি টাকা। ইচ্ছে করলে এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য তো অনেক কিছুই করার সুযোগ রয়েছে।

আদালত বলে আপনাদের (গ্রিনলাইন) আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা কিস্তি করে টাকা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। এখন সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেছেন। রাসেল তো এখন টাকা পাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা না হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে।

এ সময় গ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আমি আমার ক্লাইয়েন্টের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। আমার ক্লাইয়েন্টের আপত্তি ছিল এভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ হলে সবাই আদালতে চলে আসবে।

আদালত বলেন, মালিকরা দক্ষ চালক নিয়োগ দিচ্ছে না বলেই তো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এ কারণেই তো ক্ষতিগ্রস্তরা আদালতে আসছে। যদি চালক নিয়োগে পরিবহন মালিকরা সতর্ক হতো তাহলে দুর্ঘটনা কমে যেত বলেও মন্তব্য করে আদালত।

পরে গ্রিনলাইন পরিবহনের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অবকাশের পর এই মামলার রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদালত।

এমএ/এসএমএম 

আরও পড়ুন