• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম

রোগী সাজলেন দুদক সদস্য, ঘুষ চাইলো বক্ষব্যাধির ওয়ার্ডবয়

রোগী সাজলেন দুদক সদস্য, ঘুষ চাইলো বক্ষব্যাধির ওয়ার্ডবয়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইনে (টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। অভিযানে নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় ছয়জনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে দুদক টিম।

জানা গেছে, দুদকের হটলাইনে অভিযোগ আসে হাসপাতালটিতে পেয়িং এবং নন পেয়িং উভয় ক্যাটাগরির সিট বুকিংয়ের জন্য স্টাফদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। নন পেয়িং সিট খালি থাকা সত্ত্বেও বরাদ্দ দেয়া হয় না। বরং এর জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, সিসটার, আয়া, সুইপার, ট্রলিবয়- প্রত্যেককে পৃথকভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে হয়। এ টাকা না দিলে রোগী ও স্বজনদের নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক শারিকা ইসলাম এবং উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের টিম রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এতে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে টিমের একজন সদস্য নিজে রোগীর স্বজন পরিচয়ে হাসপাতালে সিট বুকিং করতে চাইলে তার কাছে বাড়তি অর্থ চাওয়া হয়। অভিযান দলের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের পরিচালককে বর্ণিত পরিস্থিতি অবগত করেন। হাসপাতালের পরিচালকের উপস্থিতিতে এক ওয়ার্ডবয়ের কাছ অনৈতিক উপায়ে অর্জিত বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ সাহেদুর রহমান খান জরুরি সভার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে দুদক টিমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি দুদকের পরিদর্শনে যাদের সরাসরিভাবে দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, আউটডোর ও ইমারজেন্সিকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক তদারকি ব্যবস্থা জোরদারকরণ, রোগীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে অভিযোগ বাক্স স্থাপন ও টেলিফোন নম্বর প্রদর্শনসহ নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেন।

আরও ৪টি অভিযান

সিলেটে ভূমির পর্চা সরবারহে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে, কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এ কম্পিউটার ক্রয় ও মেরামত খাতে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবং বন বিভাগ, গাজীপুরে এক বন প্রহরীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও রাজস্বের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেট এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ থেকে ৪টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন