• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৩:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৪:৪০ পিএম

স্কুল ছাত্র আবরার রাহাতের মৃত্যু

প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিহত ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক (প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক) সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। 

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক আব্দুল আলীম আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪(এ) অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়াও যাদের নামে পরোয়ানা দেয়ার আদেশ হয়েছে তারা হলেন- কবির বকুল, শুভাশিস প্রামাণিক, মহিতুল আলম, শাহ পরাণ তুষার, জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় নাইমুল আবরার রাহাত। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা।

আবরারের সহপাঠীদের দাবি, ঘটনা চেপে রেখে আবরারকে কলেজের পাশের কোনও হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবরারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর লুকিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ঘটনার জন্য দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে সম্পাদক মতিউর রহমান এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৬ নভেম্বর (বুধবার) মামলা করেন আবরারের বাবা মুজিবুর রহমান।

পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আমিনুল হক আবরারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে তার বাবার নালিশি মামলাটি একসঙ্গে তদন্ত করতে বলেন আদালত।

আদালতের ওই নির্দেশে ৯ নভেম্বর (শনিবার) সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের মাওলানা মোহাম্মদ উল্যার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে আবরারের মরদেহ তোলা হয়।

পরের দিন ১০ নভেম্বর (রোববার) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

মামলায় মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে নাইমুল আবরার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান চলাকালে নাইমুল আবরার মঞ্চের পেছনে আনুমানিক বিকাল সাড়ে তিনটায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য যে বিদ্যুৎ-সংযোগ স্থাপন করা হয়, সেখানে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয় আববার।

নাঈমুল আবরার রাহাত (১৫) ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির (দিবা) ‘গ’ শাখার ছাত্র ছিল।

এমএ/এসকে/এসএমএম

আরও পড়ুন