• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৮:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৮:৩৭ পিএম

একাদশে আসনের অতিরিক্ত ভর্তি ঠেকাতে রিট

একাদশে আসনের অতিরিক্ত ভর্তি ঠেকাতে রিট

একাদশ শ্রেণিতে আসনের অতিরিক্ত ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। ২০১৯ - ২০২০ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ‌্যান্ড কলেজে নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে ১১১ জন বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার পরিপ্রেক্ষিতে এ রিট আবেদন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।

আবেদনে অতিরিক্ত ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা দেয়ার আর্জি জানানো হয়।

আগামী রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী।

রিটে শিক্ষাসচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও দুদকের চেয়ার‌ম্যান, শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ‌্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী বলেন, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯ জারি করে। ওই নীতিমালার ৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের শতভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরসমূহ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) জন্য এবং ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে আসন ফাঁকা থাকবে।

এমএ/একেএস