• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১০:৫৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১১:০৩ এএম

১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন বন্ধে করা রিটের ভবিষ্যৎ কী

১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন বন্ধে করা রিটের ভবিষ্যৎ কী

বাজারে থাকা বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধে করা একটি রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর গবেষণার ফল নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ২০১৮ সালে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। এই রিট আবেদনে ২০১৮ সালের ২১ মে এক আদেশে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসচিব এবং বিএসটিআই মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।

তারই ধারাবাহিকতায় আদালতের আদেশে ৪টি ল্যাবে দুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপর আদালত রুল জারি করেন। এ অবস্থায় রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলেন আদালত।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, রিটটি নিয়ে অন্য বেঞ্চে যাব। যদি অন্য বেঞ্চ তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে, তাহলে শুনানি করবো। আর গ্রহণ না করলে তো কিছু করার নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে অন্য বেঞ্চ তা শুনানির জন্য গ্রহণ করতে পারবে। এতে আইনি কোনো বাধা নেই। কিন্তু একটি রেওয়াজ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা হচ্ছে সিনিয়র বেঞ্চ কোনো মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিলে অন্য বেঞ্চ সাধারণত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে না। অর্থাৎ যে বেঞ্চ এটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে, ওই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেয়া বিচারপতির চেয়ে জ্যেষ্ঠ না হলে অন্য কোনো বিচারপতি এটি শুনানির জন্য গ্রহণ নাও করতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই এক আদেশে হাইকোর্ট ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধের আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন-২০১০ অনুসারে বর্তমানে বাজারে থাকা ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ মানবদেহের জন্য অনিরাপদ ও অগ্রহণযোগ্য। হাইকোর্টের এই আদেশের পর কোম্পানিগুলো আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

ওই রুলে ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসার উপস্থিতি কেন সংবিধান ও সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ‘মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসাসম্বলিত দুধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন করা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া মানবদেহের জন্য দুধ পরিশুদ্ধ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের ৮টি সংস্থা এবং ১৪টি কোম্পানিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন