রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বর নির্মূলে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটিকে ১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কমিটির সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

এই সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে  নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আরো দুই মাস সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকার জেলা জজ হেলাল চৌধুরী এসময় আবেদনে বলেন, কমিটি গত ১০ ডিসেম্বর ও ৬ জানুয়ারি দুটি সভা করেছে।

৬ জানুয়ারি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার কারণ, প্রতিকার, দমন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগের একজন করে শিক্ষক, আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, সরকারের প্ল্যান প্রটেকশন বিভাগের একজন এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের প্রতিনিধির কাছে এ মতামত চেয়েছেন কমিটি। এ কারণে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আরো সময় প্রয়োজন।

গত বছর ১২ নভেম্বর এক আদেশে ঢাকা জেলা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। কমিটির অপর সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।

এই কমিটিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কমিটিকে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে সুপারিশনামা তৈরি করতে বলা হয়।

কমিটিকে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগের একজন করে শিক্ষক, আইসিডিডিআরবির একজন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, সরকারের প্ল্যান প্রটেকশন বিভাগের একজন এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের একজন প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে বলা হয়।

গত বছর ১৪ জুলাই আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ বিস্তার রোধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এমএ/ এফসি