ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নূরুল হক নুরকে পাসপোর্ট না দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী নুরের পাসপোর্ট না পাওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গৌবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

রুলে কেনো নুরকে পাসপোর্ট দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত। এ জন্য ২৭ জানুয়ারি (সোমবার) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

শুনানিতে আদালত বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে ভিপি নুরকে সাক্ষাত দিয়েছিলেন। সেখানে নিরাপত্তার অজুহাতে কেনো নুরের পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে না?

ভিপি নুরের পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়ে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট অধিদফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের আর সময় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন কোর্ট।

আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহসিন রশিদ।

ভিপি নুর জানান, গত জুলাইয়ে নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনারে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ ছিল তার। জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে ব্যাংকে নির্ধারিত ফিসহ এপ্রিলে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দেন তিনি। সাতদিন পরই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন বলে ধারণা ছিল তার। কিন্তু এক মাসেও তা না পেয়ে তিনি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

পাসপোর্ট অধিদফতরের ডিজি জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মামলা রয়েছে এমন অনেক রাজনৈতিক নেতারা তাহলে কীভাবে পাসপোর্ট পান নুর তা জানতে চাইলে ডিজি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ফলে গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

ভিপি নুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এ দেশের নাগরিক। পাসপোর্ট পাওয়া আমার অধিকার। আমি ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি, অথচ আমাকে পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে না। আমি অসুস্থ। ভারতে গিয়ে চিকিৎসার চিন্তা ছিল। কিন্তু পাসপোর্টের অভাবে সেটাও সম্ভব হয়নি।

এমএ/এসএমএম